প্রান্তিক দাস ।। শারদীয়া দূর্গা উৎসব পূজা পঞ্চমী বিহীত পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছিল। চন্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দূর্গার ঘটস্হাপন আর আরহন করে পূজার লগ্নে ঘট স্হাপন করা হয়। শরৎকালে রাম চন্দ্র অকালবোধনে দেবী দূর্গার পূজা করেছেন বলেই এটি কে অকাল বোধন পূজা বলা হয়।দেবী দুর্গা এ বছর দোলায় আগমন করেছে এবং কাল শুক্রবার বিজয়া দশমিতে দেবি দূর্গা গজে (নৌকায়) প্রস্থান করে চলে যাবেন দেবী কূলে । চাঁদপুর জেলায় এ বছর ২শ ১১ টি মন্ডপে দূর্গা পূজা উদযাপন করা হচ্ছে।
নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহা নবমী বিহিত পূজা শেষ হয়েছে। সকালে চাঁদপুর শহরের মন্দিরে মন্দিরে দেবীর মহা নবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শেষে অঞ্জলী প্রদান করা হয়। পুরান অনুযায়ী এ তিথিতে দেবতাগণ কাত্যায়নের আশ্রমে দেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছিল। এ দিনটি বড়ই অদ্ভুত একটি দিন। একদিকে পূজার আনন্দ অন্যদিকে মনের অচিনপুরে কেউ যেন বাজিয়ে দিয়ে যায় বিসর্জনের বাঁশি। নবমী মানেই পূজা শেষ।পুরান মতে এ দিন লন্কার অধিপতি রাবন বধের পর নবমী তিথিতে ১০৮ টি নীল পদ্ম দিয়ে দেবী দূর্গার পূজা করেছিল রম চন্দ্র। তাই নবমীতে ষোড়শ উপাচারের সাথে ১০৮ টি নীল পদ্ম দিয়ে নবমী পূজা করা হয়।দেবী দূর্গা এবং মহিষাসুরের দীর্ঘ লড়াইয়ের চুরান্ত দিন হলো মহানবমী। রাবন বধ হলে নবমী দিনে বম্মা সব দেবতাকে সাথে নিয়ে দেবীর বিশেষ পূজা করেন। নবমী বিহিত পূজা হয় নীল কণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ও যঞ্জের মাধ্যমে। এ পূজার মাধ্যমে মানব কূলের সম্পদ লাভ হয় বলে ভক্তরা মনে করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা ৩৩ মিনিটে মহানবমী কল্পারম্ভ ও পূজা শুরু হয়।নবমী পূজা শেষে সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিটে কোথাও কোথাও দশমী বিহিত পূজা করা হয়। তবে বুধবারের কুমিল্লা ও হাজীগঞ্জের অনাকান্খিত ঘটনায় মন্ডপ গুলোতে ভক্ত সমাগম কিছুটা কম ছিল।
গতকাল বিকাল ৩ টায় চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃস্হানী নেতারা কালীবাড়ি মন্দিরে জরুরী সভা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে অনারম্ভর ভাবে দেবী দূর্গার বিসর্জন দেয়ার জন্য। এসময় উপস্হিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারস সম্পাদক তমাল কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা, পুরান বাজার রাম ঠাকুর দোল মন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ মালাকার সহ আরো অনেকে।
Leave a Reply