প্রান্তিক দাস ।। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়াম্যান ৫০ জন, সাধারণ সদস্য ৩৪৫জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৯ জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য গত ১৭ অক্টোবর রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলা এলজিইডি অফিস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে।
২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাচাই করা হয়। তাতে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১ জন সংরক্ষিত ও সাধারন সদস্য ৪ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইতে বাতিল বলে গণ্য হয়। যাচাই বাছাই করেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুকবুল হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী এ এস এম রাশেদুর রহমান ও কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী আবু বকর সিদ্দীক মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করেন।
আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারীর মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। সোশাল ইসলামি ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা ঋন ছিল। মনোনয়ন পত্র জমাদানের দিন ও তিনি সেই ঋন পরিশোধ করেননি। মনোনয়ন পত্র নির্বাচন কমিশন বাতিল বলে গণ্য করেছে। তিনি ২০১৬ সালে ঐ ব্যাংকে থেকে ২০ লাখ টাকা ঋন নেন। সেই ঋন দাঁড়িয়ে ৩১ লাখ টাকায়। তিনি গত ১৯ অক্টোবর মাত্র ৬ লাখ টাকা ঋন পরিশোধ করেছেন। অপর দিকে একই ইউনিয়নে সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ড নারী সদস্য প্রার্থী জেসমিন বেগমের ৬৫ হাজার টাকা ব্যাংক ঋন থাকায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
চান্দ্রা ইউনিয়নের দু জন সদস্য প্রার্থী মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। এরা হলো ৩ নং ওয়াডের সদস্য প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী ইজাজ মাহমুদ।
শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন রুশদীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ কামরুল ইসলাম খান, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী আহসান তালিকদার। বিষ্ণপুর ইউনিয়নে সদস্য প্রার্থী মোঃ শাওন প্রধানিয়া মনোনয়ন পত্র বাতিল বলে গণ্য হয়েছে। বাকী সকল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
Leave a Reply