চাঁদপুর প্রতিনিধি ।। “ভিন্ন পাত্রে মুড়ি খাই সাম্প্রদায়িকতার ঠাই নাই” করোনা কালে ভিন্ন পাত্রে মুড়ি খাই করোনাকে বিদায় জানাই” এই শ্লোগানকে ধারণ করে চাঁদপুর ড্রামার আয়োজনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রে ৬ষ্ঠ মুড়ি উৎসবের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।উৎসব কমিটির আহ্বায়ক মোঃ ফারুক হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর ড্রামার সাধারন সম্পাদক মানিক পোদ্দারের সঞ্চালনায় মুড়ি উৎসবের উদ্ধোধন করা হয়।
১০ দিনব্যাপী উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব ও ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশীদ। তিনি বলেন, আজকের এ ষষ্ঠ মুড়ি উৎসবের উদ্ধোধন। যিনি আজকের এ উৎসবের প্রধান অতিথি কাজী শাহাদাত তিনি আমার পারিবারিক সদস্য। প্রত্যেক মানুষের চলার পথে আপন মানুষ থাকে, মহান সৃষ্টি কর্তা যা করেছে তা ভালই করেছে। এ মুড়ি উৎসব নিয়ে তপন সরকারের সাথে বাক বিতন্ডা হয়েছে। মুড়ি উৎসব কি তার উৎস্য কোথায় তা জানতে হবে। মুড়ি উৎসবে কোনো অতিথি করলে ভাবতে হবে। ১৯৮৬ সালে যখন জীবন যখানে যেমন বিটিভিতে করতে গিয়েছিলাম তখন আমরা চাঁদপুরের কোথায় কি জন্য বিখ্যাত তা তুলে ধরেছি।মুড়ির জন্য বিখ্যাত হাজীগঞ্জের উচ্চুঙ্গা। আগামীতে সেখানে গিয়ে মুড়ি উৎসব করা হোক। সেখানে যেতে না পারলে চাঁদপুর সদরের পাল কান্দিতে আমরা করতে পারি।রাতে কুপি জ্বালিয়ে খর কুটা বিছিয়ে সেখানে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে মুড়ি উৎসব করা যেতে পারে। পরামর্শ করে কিছি করলে তা আরো সুন্দর হবে।আমাদের মন মানষিকতার পরিবর্ত আনতে হবে।পালকান্দি ও উচ্চুঙ্গার মানুষ জানবে মুড়ি উৎসব কি?
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহা পরিচালক কাজী শাহাদাত। তিনি বক্তব্যে বলেন, মুড়ি উৎসব এ কাজটি সত্যি ভাল, আমার উপলদ্বিতে আসলে আমি সেটা ভাবি।আমাদের গ্রামের পাশের গ্রাম হলো উচ্চুঙ্গা।এটা বলাখাল বাজারের পাশে। উচ্চুঙ্গার মানুষ বলাখাল বাজারে না আসলে বাজার জমতো না। রমজান আসলে আমরা হাতে ভাজা মুড়ি কিনতাম। এখন বাজারে মেশিনে তৈরি মুড়ি পাওয়া যায়। সে মুড়ির স্বাদ আর হাতে ভাজা মুড়ি স্বাধ এক নয়। ডাঃ মিজানুর রহমানের বাবা মুড়ি খেয়ে তার ছেলেকে ডাক্তার বানিয়েছেন। যারা মুড়ি তৈরি করে তাদের সম্পৃক্ত করে মুড়ি উৎসব করা প্রয়োজন। পাল বললে আগে আমরা বুঝতাম মুড়ি তৈরি করা। কিন্তু পাল বংশিয়রা তাদের পেশা পরিবর্তন করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে ভাল শিক্ষকতা করছে। তাদের পূর্ব পুরুষরা মুড়ির ব্যবসা করতো।
বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ, চাঁদপুর ড্রামার সভাপতি তপন সরকার, কবি ও ছড়াকার ডাঃ পীযুষ কান্তির বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, শিশু থিয়েটারের সভাপতি পি এম বিল্লাল হোসাইন।
উৎসব সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে
ফারুক হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও শংকর রায়কে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ হচ্ছেন মানিক পোদ্দার, মজিবুর রহমান দুলাল, কৃষ্ণ গোপাল সরকার, পরিমল দাস নূপুর, ইমতিয়াজ উদ্দিন মাসুদ, অমরেশ দত্ত জয় ও সাইফুল ইসলাম রাসেল।
Leave a Reply