অভিজিত রায় ।। একজন সিঙ্গেল মাদার হয়ে সকল বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষকতা পেশা ও পরিবার দুই সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে প্রধান শিক্ষক জীবন নাহার। ময়মনসিংহ জেলার ভালুক উপজেলার বাটাজোর সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক জীবন নাহার কর্মরত একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে। তিনি শত প্রতিকুলতার মাঝে নিয়মিত ২৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করেন। এ পথ পাড়ি দিকে কোন দিন সিএনজি, ভ্যানগাড়ি ও অটো ব্যবহার করে আসছেন। তাতে জীবন নাহার সব সময় সঠিক সময়ে স্কুলে উপস্থিত হতে পারছিলেন না তাই এক সাহসী সীধান্তে নিজেই স্কুটি কিনে নিলেন। স্কুটি চালিয়ে স্কুলে যেতে পোহাতে হচ্ছে না কোন বিড়ম্বনা, সঠিক সময়ে পৌঁছে দিচ্ছে তার স্বচালিত স্কুটি। সমাজের সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে বিধবা এ নারীর জীবন সংগ্রাম ও পাঠদান এগিয়ে নিচ্ছে স্বমহিময়।
সিঙ্গেল মাদার হয়েও এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুন্দর চলছে জীবন নাহারের সংসার জীবন। তার এ জঅবন সংগ্রাম অনুকরনীয় হবে সমাজের সকল পিছিয়ে পড়া নারীর জীবনে।
প্রধান শিক্ণ জীবন নাহারের ফেজবুক পেজের পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
জীবন নাহার
প্রধান শিক্ষক
বাটাজোর মনিচালা সপ্রাবি
ময়মনসিংহ বিভাগ,ভালুকা উপজেলার একেবারেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমার কর্মস্থল, বাটাজোর মনিচালা সপ্রাবি।আমি একজন সিঙ্গেল মাদার।আল্লাহ্ তাঅালার অশেষ কৃপায় আমি এক মেয়ে ও এক ছেলের মা। সংসার সামলে বাবা হারা ছেলে মেয়ে দুজনকে সামলে ২৯ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আমার বিদ্যালয়ে।কখনো সিএনজি,কখনো অটো রিকশা, কখনো বা ভ্যানে চড়েই যেতে হয়। আবার কখনো ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে শুধু রিকশা করেই যেতে হয় ২৯ কিমি পথ।চরম ভোগান্তির স্বীকার হয়ে সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম। বিধবা মহিলা তাই অনেক বাধা উপেক্ষা করে সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে হজম করে হাতে নিলাম স্কুটি। যথা সময়ে উপস্থিত থেকে আমার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতেই আমার এই প্রচেষ্টা।আমার এবং আমার ছেলে মেয়ের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমার পথ চলা নিরাপদ হয়।
Leave a Reply